Uncategorized

শীতকালীন সময়ে ত্বকের যত্ন

এই শীতে ত্বকের যত্ন

সুন্দর ত্বক আমাদের সবার কাম্য। মেকআপ আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে সুন্দর করে তুললেও চেহারার আসল স্নিগ্ধতা আসে ত্বকের ভেতর থেকেই। ত্বকের সুস্থতা ও লাবণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত পরিচর্যার বিকল্প নেই। তাই আগে জানা জরুরি কী কী কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাচ্ছে। তবে শীতকালীন সময়ে ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন।

 

  • স্ট্রেস বা টেনশন মুক্ত থাকা :

স্ট্রেস বা টেনশন হলো ত্বকের সব চেয়ে বড় শত্রু। মানুষ যদি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে, তবে সেটা তার ত্বকে ধরা পড়ে। ফলে নিজেকে স্ট্রেসমুক্ত রাখতে হবে। থাকতে হবে টেনশন মুক্ত।

  • দূষণ থেকে দূরে থাকা :

বাতাসে থাকা ক্ষতিকারক উপাদানগুলো আমাদের ত্বকের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। লোমকূপে জমে গিয়ে ত্বক মলিন করে তোলে। এ থেকে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। শীতকালে মূলত দূষণের ফলেই ত্বক ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।সুন্দর ত্বকের জন্য টমেটো, গাজর, স্কোয়াশ খেতে পারেন। এগুলো আপনাকে ও আপনার ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখবে।

 

  • কম পানি পান :

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। দিনে কমপক্ষে আট থেকে দশ গ্লাস পানি খাওয়া আবশ্যক৷  ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করা শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো।এর অর্ধেকটা আমরা যে সব খাবার খাই, সেখান থেকেই পাই। তবে কিছু বাদ দিয়েও দিনে দুই লিটার পানির চাহিদা থাকেই। সেই পানিটুকু অন্তত ঠিকঠাক খেতে হবে। এর থেকে পানি কম খেলে ত্বকে তার প্রভাব পড়ে। রুক্ষতা দেখা দেয়।

  • কম ঘুম :

প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।  চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত পর্যাপ্ত না ঘুমালে মানব শরীরের ‘লিভিং অর্গানিজম’গুলো ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। তবে রোজকার ঘুম যদি ৬ ঘণ্টা থেকে কম হয়, তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই আপনার ত্বকে।

 

  • চিনি ও তেল :

চিনি ত্বকের শত্রু। শত্রু তেলও।এই শত্রু কে বন্ধু বানিয়ে ফেলুন এই শীতে। ত্বকের মসৃণ ও উজ্জ্বল ভাব ফিরিয়ে আনতে এক চা চামচ চিনিই যথেষ্ট। তিলের তেল ও কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল মুখে মেখে রাখুন দশ মিনিট। তারপরে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কত টা উজ্জ্বল দেখাবে আপনার তক।

 

  • বেশি সূর্যালোক :

সূর্যের আলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তবে অতিরিক্ত সূর্যের আলো, বিশেষ করে দুপুরের কড়া রোদ ত্বকের জন্য খুবই মারাত্মক। দীর্ঘদিন ধরে ত্বকে দুপুরের রোদ পড়লে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই ভাবে যদি ত্বকে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি পড়ে তবে এর প্রভাবে ত্বকের ক্যানসারও হতে পারে।

শীতকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাতাস ভারী হয়ে যায়। সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই জের পরে ত্বকের উপরেও।  যাদের ত্বক সংবেদনশীল বা শুষ্ক তাদের র‍্যাশ বের হয়, প্রদাহ শুরু হয়। তাই এইসময় দরকার ত্বকের বাড়তি যত্ন। 

প্রাথমিক পরিচর্যায় ঠিক না হলে অনেক সময় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হয়। 

সংবেদনশীল ত্বক কেও কিভাবে সুস্থ আর হাসিখুশি রাখা যায়, আসুন তা জেনে নেই।

  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। 
  •  গোসল সেরে বা প্রতিবার মুখ ধোয়ার পরে ত্বক ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। 
  • গরম পানি ত্বকের কোষ কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • জিভ দিয়ে কখনোই ঠোঁট ভেজানো উচিৎ নয়। ঠোঁটের যত্নে ব্যবহার করুন গ্লিসারিন, কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল ও মধুর সংমিশ্রণ, লিপজেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি। 
  •    শীতকালে সূর্যের তাপ কম থাকলেও তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন 
  •   বাইরে বের হওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। 
  •  ধূলি বালি বা যেকোনো রোগ-জীবাণু ও ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। হাত পা সবসময় পরিষ্কার রাখুন। প্রতিদিন গোসল করুন। পরিষ্কার জামা কাপড় পরিধান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *